•  

    বাংলা ও বিহারের কৃষিকেন্দ্রিক প্রবাদ প্রবচনের সমাজতাত্ত্বিক ও ভাষাতাত্ত্বিক প্রেক্ষিত

    Debolina Nath and Prajita Giri

    • PUBLISHED IN: YEAR 5, ISSUE 9/ BENGALI NEW YEAR EDITION 2017/ ARTICLE
    • PAGE RANGE: 40 TO 57.
    • PUBLICATION DATE: 09 MAY 2017.
    • COPYRIGHT: © 2017 BY THE AUTHOR/S.

     

    Abstract:

                লোকসংস্কৃতির সবচেয়ে শক্তিশালী শাখা হল লোকসাহিত্য। আর এই লোকসাহিত্যের অন্যতম স্তম্ভ হল প্রবাদ-প্রবচন; যা কিনা মানুষের ঐতিহ্যনির্ভর জীবন অভিজ্ঞতার ফসল, হিন্দিতে একই বলে কাঁহাবত। অনেকদিন ধরে লোকমুখে প্রচলিত জনপ্রিয় উক্তি যার মধ্যে সরলভাবে জীবনের কোনো গভীরতর সত্য প্রকাশ পায় সেগুলো প্রবাদ বা প্রবচন নামে অভিহিত হয়ে থাকে। বর্তমান পত্রে আমরা বাংলা ও বিহারের কৃষিভিত্তিক প্রবচনের তুলনামূলক আলোচনা করব। এই প্রবাদ গুলির উৎপত্তির সামাজিক প্রেক্ষাপট দেশ কালের সীমানা পেরিয়ে অভিন্ন। এই একাত্মতা কতখানি নিবিড় তা স্পষ্ট প্রতিভাত হয় বাংলা ও বিহারের কৃষিকেন্দ্রিক প্রবাদ প্রবচন গুলির মধ্যে। বর্তমান গবেষণা প্রবন্ধে আমারা বাংলা ও বিহারের কৃষিকেন্দ্রিক প্রবাদ প্রবচনগুলির সমাজতাত্ত্বিক ও ভাষাতাত্ত্বিক প্রেক্ষিতগুলি আলোচনা করবো।

    "যদি হয় চোতের শেষ,

    ধন্য রাজার পুন্যি দেশ।"

    কৃষিকাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মৌসুমি বায়ুর আগমন ও তার প্রভাবে বৃষ্টিপাত কিন্তু প্রকৃতি তো খেয়ালী সে সর্বদাই তার মর্জি মতো বিচরণ করে, তাই কখন অতিবৃষ্টি আবার কখন অনাবৃষ্টির জন্য ফসল নষ্ট হয় কিন্তু বাংলার নিরক্ষর কৃষিজীবী সমাজ তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ফলে দেখেছেন যদি চৈত্র মাসের শেষে বৃষ্টি হয় তাহলে ফসলের ফলন ভালো হয় ও সকলের মুখে হাসি ফোটে। বাংলা ও বিহার পাশাপাশি দুটি প্রতিবেশী রাজ্য তাই স্বাভাবিক ভাবেই উভয়ের আবহাওয়া পার্থক্য খুব একটা বেশি নয় তাই বিহারেও চৈত্রের বৃষ্টি যে কৃষিকাজে জন্য যে সমান উপযোগী তা স্পষ্ট বোঝা যায় উক্ত প্রবাদে।

                কেন্ট বাখের মতে, "almost any speech act is really the performance of several acts at once, distinguished by different aspects of the speaker's intention: there is the act of saying something, what one does in saying it, such as requesting or promising, and how one is trying to affect one's audience." আবার জন এল. অস্টিনের মতানুসারে, প্রবাদ-প্রবচনের মাধ্যমে মূলতঃ ভাষার 'illocutionary force' প্রকাশ পায়, যা ভাষার আক্ষরিক অর্থের পরিবর্তে অন্তর্নিহিত গূঢ় অর্থকে ব্যক্ত করে এবং যা সাধারণভাবে উপদেশ বা পরামর্শ দান করে।

    Debolina Nath, PhD Research Scholar,Department of Drama, Rabindra Bharati University, Kolkata, West Bengal.

     

    Projita Giri, M.Phil Scholar, School of Language and Linguistics, Jadavpur University, Kolkata, West Bengal.

    MLA Citation:

     

    Nath, Debolina, and Projita Giri. "বাংলা ও বিহারের কৃষিকেন্দ্রিক প্রবাদ প্রবচনের সমাজতাত্ত্বিক ও ভাষাতাত্ত্বিক প্রেক্ষিত [Bangla O Biharer Krishi-Kendrik Prabad Prabochoner Samajtatwik O Bhashatatwik Prekhhit]." Thespian Magazine, yr. 5, issue 9, 9 May 2017, pp. 40-57.