Abstract:

            সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারতে নাট্যচর্চা হতো তার উল্লেখ পাওয়া যায়। কারণ সংস্কৃত নাটকগুলির সাহিত্যিক মূল্যায়ন সেই বিষয়টিকে অনেকখানি চিনিয়ে দিতে সাহায্য করে। তাহলে বৈদিক যুগের কাছাকাছি সময়েও যে এই চার্চা ছিল সেই বিষয়টির আলোচনা ও বিশ্লেষণ এই প্রসঙ্গে অতীব গুরুত্বের। বলা বাহুল্য যে, এই নাট্য ঐতিহ্যের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের সঙ্গে যুক্ত নানান আখ্যান পরিবেশন করে চলেছে লোকায়তের আঙিনায়, যে বর্গগুলিকে আমরাই “লোকনাটক” আখ্যা দিয়েছি। যেমন- যাত্রা, কুশাণ যাত্রা, চোর-চোরনী, লেটো, ঝুমুর, গম্ভীরা, আলকাপ, বোলান, বহুরূপী প্রভৃতি। এই সকল অভিনয়গুলিতে কীভাবে শিল্পীরা ভিন্ন পাঠের পরিবেশন করে চলেছেন সেই বিষয়ের বিশ্লেষণ এই আলোচনার অন্যতম উদ্দেশ্য। এর পাশাপাশি এই অভিনয়গুলির পরিবেশনের কেন্দ্রে কী রয়েছে কোন রাজনীতির আবর্ত? এছাড়াও কীভাবে অর্থ বহুল হয়ে ওঠে শিল্পীদের অভিনয়ের কৌশল ও পরিবেশন পদ্ধতি। আবার দেখা যায়, একই অভিনয়ের বিষয়গত ও পরিবেশনগত একাধিক পার্থক্য। সঙ্গত কারণেই একই আখ্যানের বিবিধ পাঠের পরিবেশন হয় লোক অভিনয়ের ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যম গুলিতে। ফলে একদিকে অতিনয় ও পরিবেশন অনুযায়ী আখ্যানগুলির মধ্যে সংযোজন হচ্ছে অন্যমাত্রা। অপরদিকে একটি বর্গ বা শিল্পমাধ্যম অন্যবর্গগুলির সঙ্গে রেখে চলেছে সতত যোগাযোগ। সেই আন্তরযোগের সূক্ষ্ম যোগসূত্র স্থাপনের একাধিক স্তরগুলোকে ধরতে চাওয়া ও এই আলোচনার বিশেষ প্রয়াস।